অটো পাসের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সবার নজর জিপিএর দিকে। জিপিএ-৫ বৃদ্ধির হারের দিক থেকে এবার সবচেয়ে এগিয়ে বরিশাল বোর্ড।
এ বোর্ডে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৬৮ জন শিক্ষার্থী। আগের বছরে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২০১। আগের বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে চার দশমিক ৬৪ গুণ।
শনিবার প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে তিন দশমিক ১৮ গুণ, রাজশাহী বোর্ডে বেড়েছে তিন দশমিক ৯৫, কুমিল্লা বোর্ডে বেড়েছে তিন দশমিক ৯৫, যশোর বোর্ডে বেড়েছে ২ দশমিক ৪৩ গুণ।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে বেড়েছে চার দশমিক দুই গুণ, সিলেটে তিন দশমিক ৮৮, দিনাজপুরে তিন দশমিক ৬৭, মাদ্রাসা বোর্ডে ১ দশমিক ৮০ এবং কারিগরি বোর্ডে বেড়েছে এক দশমিক ০২ গুণ।
এবার ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৯২৬ শিক্ষার্থী, যে সংখ্যাটি গত বছর ছিল ১৮ হাজার ১৮৭ জন।
রাজশাহী বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৫৬৮ জন। এ ছাড়া কুমিল্লায় ৯ হাজার ৩৬৪, যশোরে ১২ হাজার ৮৯২, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, বরিশালে ৫ হাজার ৫৬৮, সিলেটে ৪ হাজার ৪৪২, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১, ময়মনসিংহ ১০ হাজার ৪০, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮ এবং কারিগরিতে ৪ হাজার ১৪৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শতভাগ পাসের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ৩.৪২ গুণ।
২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
২০২০ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০ হাজার ৭৪৮ জন বেশি।
২০১৯ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অটো পাসের কারণে এবার সেটি ১০০ শতাংশ হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রকাশ হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল।