দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্মে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার সকালে দলের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির পরিচিতি সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘নতুন নেতাদের দলের শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন মেনে রাজনীতি করতে হবে। যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বাদ দিতে হবে। ফ্রি স্টাইলে কোনো কিছুই করা যাবে না।
‘একজন ব্যক্তি একাধিক কমিটিতে থাকতে পারবে না। আগে থেকে কোনো সহযোগী বা অন্য কোনো কমিটিতে থাকলে তাকে সেখান থেকে পদত্যাগ করে আসতে হবে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের বিদ্রোহীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে এবং এখনও মাঠে আছে, তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট।
‘বিদ্রোহীদের যারা মদদ বা উসকানি দিচ্ছে, তাদেরকে একই শাস্তি পেতে হবে। এসব বিদ্রোহী ও উসকানিদাতারা অনতিবিলম্ব সরে না দাঁড়ালে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে নির্বাচনি আমেজ সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত বিএনপির।
‘তারা নামে মাত্র নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল তাদের এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু যেখানে কেন্দ্রে তাদের এজেন্টই ছিল না, সেখানে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শিষ্টাচার-বহির্ভূত। চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, তা তারা বিএনপির আমলেও পায়নি।’