জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি চেয়ার করার পরিকল্পনা করছে ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আগরতলায় গড়ে উঠতে পারে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি জাদুঘর ও শহিদ মিনার।
রাজ্যে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জুবায়েদ হোসেন ও প্রথম সচিব জাকির হুসেন ভূইঞার সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গঙ্গাপ্রসাদ প্রসিন। বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনায় উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর নামে চেয়ার করার বিষয়।এ ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচির বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ত্রিপুরার উচ্চশিক্ষা সংসদের সহ-সভাপতি অরুণোদয় সাহাসহ অনেকে।
অরুণোদয় সাহা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চেয়ার করা হলে সেটি বেশ গর্বের হবে। এ ছাড়া যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে ত্রিপুরা সফরের সময় অরুণোদয় সাহা উপাচার্য ছিলেন। তার উদ্যোগে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়া হয়।শেখ হাসিনার সফরের স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে সেখানে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প।’
অরুণোদয় সাহা আরও জানান, বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত আগরতলায় একটি স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর বানানোরও পরিকল্পনা আছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মিশনের প্রথম সচিব জাকির হুসেন ভূইঞা জানান, তারা উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উপাচার্য বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নামে চেয়ার উৎসর্গ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই চিন্তা-ভাবনা চলছে। তিনিও স্মরণ করিয়ে দেন ত্রিপুরা তথা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের কথা।