মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে কুয়েতের আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুয়েতের ফৌজদারি আদালত এ রায় দেয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আল কাবাস।
কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওথমান লক্ষ্মীপুর–২ আসনের এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের পাশাপাশি সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মাজেন আল জারাহের বিরুদ্ধেও একই দণ্ডাদেশ দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, প্রভাবশালী ওই জেনারেল বাংলাদেশের সাংসদকে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনায় মদদ দিয়েছিলেন।
কুয়েতের দুই পার্লামেন্ট সদস্য সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি এবং সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদকে এ মামলার অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ মামলা করা হয়।
এদিকে গত ২৭ ডিসেম্বর মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের আট ব্যাংকের ৬১৩টি হিসাব জব্দ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একইসঙ্গে তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৩০ দশমিক ২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এজন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়েও চিঠি দিয়েছে কমিশন।