বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:২৯

সাত দিনের মধ্যে দুদককে বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ২০১৪ সালে এই ১৭ সিবিএ নেতাকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু দুদকের তলবে হাজির না হয়ে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ছয় বছর আগের এক নোটিশে সাড়া না দেয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তৎকালীন ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বা আদৌ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কি না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

সাত দিনের মধ্যে দুদককে বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

সিবিএর ওই ১৭ নেতা হলেন- তৎকালীন সভাপতি মসিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আজহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, ইউনুস খান, সাধারণ সম্পাদক মনতাসার রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক হারুনর রশিদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল বারি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফিরোজুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুস সোবহান, নারী বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কায়সার আহমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল জব্বার ও আবদুল আজিজ।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ২০১৪ সালে এই ১৭ সিবিএ নেতাকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু দুদকের তলবে হাজির না হয়ে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার ও প্রকাশ হয়।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমান শ্রমিক লীগের ১৭ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু নেতারা কেউই ওই নোটিশে সাড়া দেননি। উল্টো তারা জানান, তারা দুদকের যে কোনো পদক্ষেপ আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন।’

এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

তখন রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করে।

রুলে ১৭ সিবিএ নেতাকে হাজিরে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

বেসামরিক বিমান সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিমানের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সেই রুলটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার তালিকায় আসে। আদালত শুনানি নিয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ পদক্ষেপ নিয়েছিল কি না- তা সাত দিনে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “দুদক আইনের ১৯(১)(ক) ধারায় দুর্নীতির তদন্ত, অনুসন্ধান, সমন জারি ও তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিতে পারে সংস্থাটি। এ বিষযে নেয়া পদক্ষেপ মানা বাধ্যতামূলক। কেউ তা অমান্য করলে ৩ বছরের শাস্তিও হতে পারে।

বিমানের সিবিএ নেতারা দুদকের নির্দেশনা অমান্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এটি আইনের ব্যত্যয়।

তিনি বলেন, যেহেতু সিবিএ নেতারা প্রভাবশালী। তাই আইন তার নিজস্ব গতিতে না চললে আইনের শাসন ব্যাহত হতে পারে এবং আইনের দৃষ্টিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিভাগের আরো খবর