অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাহেদের বিচার শুরু হলো। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলা দুটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান মামলা দুটির সাক্ষ্যগ্রহণের এই দিন ঠিক করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটির আব্দুল লতিফ ও আসামিপক্ষে আবু বক্কর সিদ্দিকী শুনানি অংশ নেন।
আলোচিত এই দুই মামলায় একমাত্র আসামি সাহেদ করিম।
এর আগে বুধবার তাকে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে নেয়া হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন।
রাজধানীর একটি থানায় করা অস্ত্র মামলায় সাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এই দণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার পর সাহেদকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সুবিচার পাই নাই। উচ্চ আদালতে যাব। উচ্চ আদালতে সুবিচার পাব।’
৮ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে মামলার বিচার কাজ। এই সময়কে অস্বাভাবিক বলেছেন সাহেদের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘অস্বাভাবিক তাড়াহুড়োর মধ্যে রায় হয়েছে। কিছু ভেবে ডিফেন্স লাইন ভালোভাবে তৈরির সুযোগ পেলাম না।’
২০২০ সালের ৬ জুলাই রাজধানী উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়। এরপর হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তারের দাবি করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের উপসহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় সাহেদ ও বাচ্চু নামের এক মাঝিকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে পান।
বাচ্চুর বিষয়ে কোনো তথ্য না পেয়ে ২৪ আগস্ট এসআই রেজাউল শুধু সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।