ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালি থানায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ আবার পিছিয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন বিচারক।বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ঠিক করেন।
এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার দেয়ার তারিখ পেছাল।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এ ছাড়া লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন তিনি।
মামলায় ওই ছাত্রীকে অপহরণ, পরে পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটিতে দুইটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের তৎকালীন আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুনকে। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বাকি চার আসামি হলেন নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকী। এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে সোহাগ, সাইফুল ও নাজমুল কারাগারে আছেন।