বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সিনেমা সিরিয়াল দেখে চাঁদাবাজি’, কিশোর গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:১০

ডিবির ভাষ্য, গ্রেপ্তার কিশোর হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি ক্রাইম পেট্রোলের মতো হিন্দি সিরিয়াল দেখত। সে ভারতের মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিমের সহচর ছোটা শাকিলের পরিচয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে।

রাজধানীর গুলশানের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ থেকে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই কিশোর হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল ও ইউটিউব দেখে চাঁদাবাজির কৌশল শিখেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান বিভাগের একটি দল বুধবার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানা এলাকা থেকে কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।

ডিবির ভাষ্য, গ্রেপ্তার কিশোর হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি ক্রাইম পেট্রোলের মতো হিন্দি সিরিয়াল দেখত। সে ভারতের মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিমের সহচর ছোটা শাকিলের পরিচয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে।

ওই ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। গ্রেপ্তার কিশোর ব্যবসায়ীর বাড়ির কেয়ারটেকারের ছেলে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, গুলশান ডিবির একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় সন্ত্রাসী পরিচয়ে গাড়িতে নকল বোমা রেখে চাঁদা দাবির অভিযাগে কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্যে চাঁদা দাবির বর্ণনা

হাফিজ আক্তার বলেন, গত ১১ জানুয়ারি রাত ৪টায় ছোটা শাকিলের পরিচয়ে মোবাইলে ঢাকার গুলশানের ঢালী সুপার স্টোরের মালিক গিয়াস উদ্দিনের কাছে পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। দাবিকৃত টাকা না দিলে বোমা মেরে তার পরিবারের সদস্যদের উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই কিশোর।

পরদিন ১২ জানুয়ারি বিকেলে পার্ক করা অবস্থায় ব্যবসায়ীর গাড়ির নিচে বোমাসদৃশ বস্তুর উপস্থিতি দেখতে পান চালক। পরে ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বাড্ডা থানা পুলিশ কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে জানায়।

পরবর্তী সময়ে ডিএমপির সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট বোমাসদৃশ বস্তুটি অপসারণ ও ধ্বংস করে।

কেমন ছিল বোমাটি

পুলিশের বিশ্লেষণে দেখা যায়, বোমাসদৃশ বস্তুটি অকার্যকর বোমা ছিল। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাড্ডা থানায় একটি মামলা হয়। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ শেষে ঘটনার হোতাকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।

হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তরুণ ডিবিকে জানিয়েছে, সে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর একটি কাপড়ের দোকানে চার হাজার টাকা বেতনে সেলসম্যানের কাজ নেয়। কিন্তু বেতন অল্প হওয়ায় এবং দ্রুত ধনী হওয়ার আশায় সেখান থেকে পালিয়ে আসে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কিশোরটি ধনী হওয়ার জন্য পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের পরিবারকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করে ২ মাস আগে থেকে। এ জন্য সে হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল, ইউটিউব দেখে নকল বোমা বানানো ও সন্ত্রাসী পরিচয়ে হুমকি-ধমকি দেয়ার কৌশল শেখে। হিন্দি সিনেমা দেখার কারণে সে হিন্দি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন করে।

লাল স্কচটেপ, পাইপ, ইলেকট্রিক তার, পেন্সিল ব্যাটারি ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দিয়ে বোমা সদৃশ বস্তুটি বানিয়ে রাখে। ব্যবসায়ী তার প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে তার এক আত্মীয়ের জানাজায় যান। সেই সুযোগে গ্রেপ্তার ওই তরুণ প্রাইভেটকারের নিচে বোমাসদৃশ বস্তুটি টেপ মেরে আটকে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিত্তবানদের উদ্দেশে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে বা কোনো চাঁদাবাজ যদি ফোন করে হুমকি দেয়, চাঁদা দাবি করে, তাহলে নিকটস্থ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশকে জানান। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর