বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজ কেন্দ্রে শাহাদাতের ২২ ভোট

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:৩১

চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী যেমন অস্বাভাবিক কম ভোট পেয়েছেন, তেমনি সেখানে ভোটের হারও অনেক কম। নয় হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন পাঁচশর কিছু বেশি। বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ, তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, এজেন্ট আসেইনি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন তার নিজের কেন্দ্র চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ২২ ভোট পেয়েছেন।

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম পেয়েছেন ৪৯১ ভোট।

এখানে তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে দুইটি পুরুষ ও একটি নারী ভোটার কেন্দ্র। সবগুলো মিলে এই কলেজের তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার নয় হাজার ৭৭৪ জন।

তবে তিন কেন্দ্রে ভোট পড়েছে অস্বাভাবিক কম। পাঁচ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে দিন ভর।

নিজের কেন্দ্রে এজেন্টও দিতে পারেননি শাহাদাত। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ভোট দিতে গিয়ে তিনি বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন গণমাধ্যমে।

সে সময় শাহাদাত বলেন, ‘আমার নিজ কেন্দ্রে এজেন্ট পাইনি। মেরে বের করে দেয়া হয়েছে অনেক আগেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোট আওয়ামী লীগের সঙ্গে হচ্ছে না, হচ্ছে প্রশাসনের সঙ্গে। এমনকি আমার ভোটারদেরও ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করছে বহিরাগতরা। কারোর জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করা হচ্ছে না।’

কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন

তবে কোনো এজেন্টকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ভোটের আগে তাকে বিএনপির এজেন্টদের একটি তালিকা দেয়া হলেও কেন্দ্রে কাউকেই দেখা যায়নি। তারা কেউ আসেনইনি।

সামগ্রিক নির্বাচনের চিত্রও মোটামুটি এই কেন্দ্রের মতোই। ১৯ লাখেরও বেশি ভোটারের এই নির্বাচনে ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৯৩টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে।

এসব কেন্দ্রে ভোট পড়েছে তিন লাখের কম। আর ধানের শীষের তুলনায় নৌকায় ভোট পড়েছে ছয় গুণেরও বেশি।

ভোটার উপস্থিতি কম- এটা স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীরও। তার দাবি, উন্নত বিশ্বে ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে চান না। বাংলাদেশও উন্নতি করছে। এ কারণে তারাও ইদানীং কেন্দ্রে যেতে অনীহা দেখাচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর