বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিমান্ড শেষে কারাগারে পিকে হালদারের বান্ধবী

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৫৬

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের জন্য দুদকের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় আলোচিত ব্যাংকার প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে দুদকের তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে অবন্তিকাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিশেষ বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

এ সময় দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. জুলফিককার নিউজবাংলাকে জানান, অবন্তিকার পক্ষে কোনো প্রকার আবেদন এবং আইনজীবী না থাকায় তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এদিন সকালে ধানমন্ডি এলাকা থেকে পিকে হালদারের অবন্তিকাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল গ্রেপ্তার করে।

রিমান্ড আবেদনে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেছিলেন, অবন্তিকার বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আরও তথ্য জানার জন্য তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে তিন দিনের জন্য দুদকের হেফাজতে পাঠায়।

মামলায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি থাকাকালে নিজের আত্মীয় স্বজনকে কয়েকটি লিজিং কোম্পানির ইনডিপেন্ডেন্ট পরিচালক বানান তিনি। একক কর্তৃত্ব খাটিয়ে বিভিন্ন কৌশলে কোম্পানিগুলোর টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পিপলস লিজিং নামক কোম্পানি থেকে আমানতকারীদের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করে এই কোম্পানিকে পথে বসিয়েছেন পিকে হালদার।

পি কে হালদার এসব কোম্পানির স্থাবর সম্পদ বিক্রি করাসহ আমানতকারীদের শেয়ার পোর্টফোলিও থেকে বিক্রি করে সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তাকে এসব কাজে সহায়তা করার অভিযোগে গত ৫ জানুয়ারি পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার ও অবন্তিকা বড়ালসহ ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। এতে বলা হয়, প্রয়োজনে দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

পি কে হালদারের প্রতারণার শিকার হওয়ার দাবি করে ভুক্তভোগী পাঁচ জন বিনিয়োগকারী ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে এই নির্দেশনা দেয় আদালত।

আবেদনকারীরা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে নাশিদ কামাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকতুর রহমান, সামিয়া বিনতে মাহবুব, খালেদ মনসুর ট্রাস্টের পক্ষে তরিকুল ইসলাম।

সামিয়া বিনতে মাহবুব নামের এক বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে টাকা ফেরত চাই। এ জন্য যা যা করা দরকার তাই করব। পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার ও অবন্তিকা বড়ালসহ সকলকে আটক করলেই পিকে হালদারকে ফেরানো সম্ভব হবে।’

এ ছাড়াও পাঁচটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩৫১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের স্বজন ও সহযোগীসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে আরও পাঁচটি পৃথক মামলা করেছে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ৩৩ ব্যক্তি পারস্পারিক যোগসাজশে কাগুজে কোম্পানির মাধ্যমে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লুট করে পাচার করেছেন।

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন ভয়ে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদার কানাডায় পালিয়ে যান বলে তথ্য পাওয়া যায়। এরপর তার পাসপোর্ট, সম্পত্তি জব্দ করা হয়। ৮ জানুয়ারি তাকে ধরতে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

এ বিভাগের আরো খবর