বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাকাত সর্দার মালা পুলিশের জালে ধরা

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৬

রাজধানীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বাড়ছে। প্রতিনিয়ত কৌশল বদলে শক্তিশালী হচ্ছে সংঘবদ্ধ এসব চক্র। তাদের ধরতে গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যাপক অভিযানে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। তিন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২৪ জনকে।

রাজধানীতে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ যাকে বলছে ডাকাত দলের সর্দার।

তিনি পরিচিত মালা নামে, তবে প্রকৃত নাম নাম কোহিনুর বেগম।

পুলিশ বলছে, মালা মুগদা এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তার বাসায় ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি ওই বাসাতেই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মালামাল ভাগ করতেন।

রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে মালাসহ ডাকাত দলের ৯, মলম পার্টির ৯ এবং মোবাইল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির বিভিন্ন জিনিস।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার দুপুরে এসব জানান গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি জানান, মালা ও তার সহযোগীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন ডাকাতির প্রস্তুতিকালে। জব্দ করা হয়েছে একটি চাপাতি ও দুটি ছুরি। মুগদা থানা এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।

মালার সহযোগীরা হলেন রাসেল মাহমুদ, মাসুদ মিয়া, শামীম, আমিনুল ইসলাম হৃদয়, পারভেজ, শহিদুল, বাবু ওরফে ব্লেড বাবু, ও জয় মিয়া।

মালার নামে একাধিক ছিনতাই মামলা আছে জানিয়ে যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘মালা ও তার স্বামী দীর্ঘদিন ডাকাত দলের পৃষ্ঠপোষক করে আসছিলেন। ডাকাত দলের কেউ গ্রেপ্তার হলে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করতেন তারা। বিনিময়ে ডাকাতি করা মালামালের একটা অংশ পেতেন।’

জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান মাহবুব আলম।

যাত্রীদের চোখে-মুখে মলম বা স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ছিনতাই করতো তারা

রাজধানীর হাজারীবাগে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। জব্দ করা হয়েছে পাঁচটি চেতনানাশক স্প্রে, চারটি জাম বাগ মলম, চারটি পাগলা মলম ও তিন প্যাকেট মরিচের গুড়া।

যারা ধরা পড়েছেন তারা হলেন, মোজাম্মেল হোসেন, মোহাম্মদ কালু, ইলিয়াস, আনোয়ার হোসেন, সুমন হোসেন, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ মিটন, রবি আওয়াল ও মোহাম্মদ হেলাল।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় তারা শিকার টার্গেট করত। টার্গেট করা ব্যক্তি যখন বাসে উঠে তখন কৌশলে তাদের পাশে বসে সুযোগ বুঝে চোখে-মুখে মলম বা স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে তাদের সঙ্গে থাকা সবকিছু লুটে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম

বাসে যাত্রীরা কথা বলার সময় মোবাইল ছিনতাই করতো তারা

মোবাইল চোরাকারবারির দলের আরও ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ইউনিট। তেজগাঁওয়ের টিসিবি কার্যালয়ের সামনে থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। জব্দ হয় ৩০টি চোরাই মোবাইল ফোন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রবিন ওরফে নবী, ছাঈদ, রুনা ওরফে রোজিনা , মনোয়ার, রুবেল মিয়া ওরফে হাসান ও আলামীন।

গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘আসামিরা পেশাদার সংঘবদ্ধ চোরাই মোবাইল চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর