বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সহিংসতা, কেন্দ্র ফাঁকায় ভোট শেষ

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:০১

ভোটের শুরুতেই সহিংসহায় প্রাণ যায় এক জনের। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নগণ্য ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে অধিকাংশ কেন্দ্রেই।

সহিংসতা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ভাঙচুর, প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং কেন্দ্র ফাঁকা পড়ে থাকার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

এবার গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার পালা।

সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির শাহাদাত হোসেন ছাড়াও মেয়র পদে লড়ছেন আরও পাঁচ প্রার্থী। এ ছাড়া ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন।আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার খরা

নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ৭৩৫টি কেন্দ্রে বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

সহিংসতায় নিহত এক

ভোট শুরুর ঘণ্টা দুই পর নগরের খুলশী থানার আমবাগান ঝাউতলার ইউসেফ এলাকায় নির্বাচনি সহিংসতার সময় গুলিতে আলাউদ্দিন আলম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আলম গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ভোট কেন্দ্রের বাইরে সহিংসতার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান। ছবি: নিউজবাংলা

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আমবাগান ঝাউতলার সহিংসতা ছাড়াও ভোটের সকালে লালখান বাজার ও পাহাড়তলি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ও গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী এস কবির মানিকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় সাত থেকে আট জন আহত হন।

একই সময়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নুরুল আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমেদের সমর্থকদের হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আহত হন অন্তত ১০ জন।

ভোট বর্জন

নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন দুই প্রার্থী। ভোট চলার সময় সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মো. জান্নাতুল ইসলাম।

নগরীর কোতোয়ালী থানার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দুপুর তিনটার দিকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে জমা দেয়া অভিযোগে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, মারধর ও প্রার্থীর সঙ্গে অসদাচরণের কথা উল্লেখ করেন জান্নাতুল।

দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ১৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের প্রার্থী মনোয়ারা বেগম। তবে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ দেননি তিনি।

কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার প্রতিবাদে কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে এসে অবস্থান নেন মনোরায়া। বলেন, ‘আমি নির্বাচন বর্জন করছি। এই নির্বাচনের কোনো দরকার নাই। সবকটি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করুক।’

ফাঁকা ভোটের বুথ; সারাদিনই ছিল একই চিত্র। ছবি: নিউজবাংলা

কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার খরা

সকাল আটটায় ভোট শুরুর সময় ছিল কনকনে ঠান্ডা। ধারণা করা হচ্ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ভোটার। কিন্তু এখন রোদের দেখা মিললেও, দেখা মেলেনি ভোটারদের।

সকাল আটটায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতার কারণে ভোট শুরু হয় দেরিতে।

সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে অধিকাংশতেই নগণ্য ভোটার উপস্থিতিই দেখতে পেয়েছে নিউজবাংলার টিম।

কদম মোবারক মুসলিম এতিম খানা বিদ্যালয় কেন্দ্রে মহিলা ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৮০। সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৭৮টি।

কোথাও কোথাও দেখা গেছে দুপুর পর্যন্ত ভোট গ্রহণের হার ৫-৬ শতাংশের নিচে। দুপুরের পর ভোটার বাড়ার নমুনাও দেখা যায়নি।

শহীদনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টিসার্চ ট্রেনিং কলেজ, ঝাউতলা বাজার বঙ্গবন্ধু বাংলা বিদ্যাপিট, ফিরোজ শাহ কলোনী সরকারি বিদ্যালয়সহ অনেক কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুব কম।

এ বিভাগের আরো খবর