চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে পুলিশের অতি বাড়াবাড়ির কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। তার দাবি, পুলিশ প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে।
দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ভোট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করছে জানিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নয়। এটা আমাদের সঙ্গে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। কম্পপ্লিটলি মনে হয়েছে পুলিশের অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা কিভাবে নির্বাচনটা দ্রুত করে আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে দেবে এই চিন্তায় যেন তাদের মধ্যে কাজ করেছে।’
পুলিশের ভূমিকার প্রশ্ন তুলে শাহাদাত আরও বলেন, ‘আমাদের এজেন্টরা যখন পুলিশের কাছে বিচার দিয়েছে। জানিয়েছে, যে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তখন পুলিশের কোনো ভুমিকা ছিল না।
‘আমি বারবার বলেছি ব্যালট প্যানেলকে সুরক্ষা দিতে হবে, এনআইডি কার্ড ছাড়া যাতে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে এবং বহিরাগত যেন কেউ থাকতে না পারে। কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম আমাদের তিনটি দাবির একটিও মানা হয়নি।’
ব্যালট প্যানেলেকে কোনো সুরক্ষা দেয়া হয়নি অভিযোগ শাহাদাতের। তিনি জানান, ব্যালট প্যানেল কম্পলিটলি অরক্ষিত রাখা হয়েছে। এজেন্টেদেরও বের করে দিয়েছে তাদেরও সুরক্ষা দিতে পারেনি।
শাহাদাতের অভিযোগের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, ব্যালট প্যানেল সুরক্ষা দেয়া আইনের মধ্যে পড়ে না। এর উত্তরে শাহাদাত বলেছেন, ‘আগে এটা আমাদের জানালে আমরা নির্বাচনে যেতাম না। আমাদেরকে কথা দেয়া হয়েছিল যে এই শর্তগুলো মানা হবে।’
বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের অভিযোগ, তার এজেন্টদের মেরে বের করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ছবি: নিউজবাংলা
সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হওয়ার পর নগরীর বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম।
নগণ্য ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর বলে জানালেন শাহাদাত। বলেন, ‘এটা তো আমাদেরও খারাপ লাগে। আমরা রাজনীতিবিদ ভোটে দাড়িয়েছি কিন্তু ভোটার আসেনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর। তার মানে আমরা ওত বেশি কোয়ালিফাইড না।’
এত অভিযোগের পরেও বর্জন নয় বরং নির্বাচনের মাঠে থাকতে চান শাহাদাত। শেষ ঘণ্টাতেও নগরবাসী যাতে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। কিন্তু তার শঙ্কা, সন্ধ্যার পর ভোট ডাকাতির উৎসব হতে পারে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর চকবাজারে টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভোট দেয়ার পর কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন শাহাদাত। এ সময় সাংবাদিকদের জানান, তার এজেন্টদের মেরে বের করে দেয়া হয়েছে।
পরে দুপুর দুইটার দিকে, নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জানাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কার্যালয়ে আসেন শাহাদাত। কিন্তু ওই সময়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
২৫ মিনিট পরই ফিরে আসেন হাসানুজ্জামান। তখন তাকে অভিযোগ জানান শাহাদাত হোসেন।