বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে ভোট: সংসদে রুমিন-আনিসের বাহাস

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:২৬

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ভোট দেয় প্রশাসন, তাকিয়ে ছিল জনগণ...’ জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপির আমলে মাশাল্লাহ কখন কোথায় ভোট হতো আমরা জানতাম না...।’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোটের উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় সংসদেও। ভোটের নানা অনিয়মত তুলে ধরা বিএনপির দুই সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বাহাস হয়েছে আইনমন্ত্রী আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের।

‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন)- ২০২১’ সংসদে পাসের সময় জনমত যাচাইয়ের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রস্তাব তোলার পর বক্তব্যে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের ভোট টেনে আনেন।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসন চালাবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? (চট্টগ্রামে) নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে। প্রহসন হচ্ছে। ফলে আইন সংশোধন না করে সংবিধানই সংশোধন করে দিন। এতে প্রধানমন্ত্রী তার মনোনীত প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে দিক। নির্বাচনের আর প্রয়োজন হবেনা।’

পরে সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে, সুষ্ঠু হয়েছে নির্বাচন, ভোট দেয় প্রশাসন, তাকিয়ে ছিল জনগণ। ভোটটা যদি এমন না করে, তাহলেই হয়। ভোটটা সুষ্ঠু করে করলেই তো হয়। কারও থেকে ভোট শিখতে হবে কেনো মাননীয় স্পিকার! ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটা সবাই জানে। ভোটটা দিতে দিলেই হয়।

‘ভোটটা যদি এক জন ভোটার নিজের মতো করে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে দিতে পারেন, তাহলেই তো হয়। যদি ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়, যদি আগের থেকে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা না হয়, যদি নৌকা মানেই জেতা, এ অবস্থা না করা হয়, তাহলেই হয়…।’

পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অন্য সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের জবাব দেয়ার পর বলেন, ‘বিএনপির আমলে মাশাল্লাহ কখন কোথায় ভোট হতো আমরা জানতাম না। কারণ আমরা জানলে ভোটে দাঁড়াব, মানুষ আসবে। আমাদের ভোট দেবে। হিস্ট্রি বুক হ্যাভ ইট। প্রতিবার রিপিট করার দরকার নাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি তাদের কেউই গতকালকে জন্ম নেইনি। উনারা নির্বাচনের কথা বলছেন। আমরা জিয়াউর রহমানের সময় ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দেখেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছি (১৯৯৬ সালে বিএনপির একতরফা নির্বাচন)। ব্যালটবাক্স পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে ব্যালট বাক্স নেই। যাদের এই চরিত্র তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু করতে হয় সেটা শেখার প্রয়োজন নেই। জনগণকে ভোট দেয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।’

সম্প্রতি পৌরসভার নির্বাচনের দুই ধাপের ভোটকে সুষ্ঠু দাবি করেছেন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা।

দলটির সংসদ সদস্য পীর ফজলু বলেন, ‘সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিএনপির বিদ্রোহী জয়ী হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে বিএনপির প্রার্থীরাও বলেছেন।’

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে আমার পৌরসভায়। লাঙ্গল জয়ী হয়েছে। সবাই মিলে চাইলে ভোট সুষ্ঠু হবে।

পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় হারুনুর রশীদ বলেন, ‘এখনই দেখেন চট্টগ্রামে বহু কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যামকর্মীদের পাস দেয়া হচ্ছে না। চাইলে এখনই ফোনে দেখাতে পারি।’

সংশোধনী প্রস্তাবের জবাব দিতে উঠে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে কখন, কোথায় ভোট হত জানতাম না। ভোট হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি কী নির্বাচন হয়েছিল? কতজন ভোট পেয়ে জিতেছিল। এক জন খুনের আসামিকে তারা অপজিশন পার্টির লিডার বানিয়েছিলেন। নির্বাচন নিয়ে উনাদের কাছ থেকে শিখতে হবেনা।’

এ বিভাগের আরো খবর