বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৪

ওই প্রার্থী বলেন, ‘আমাকে কেন্দ্রেই ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমি ভোট দিতে পারিনি। কোনো সেন্টারের সামনে দাঁড়াতেই পারতেছি না। আমার বাসার সামনে দেখে আসেন পাথর দিয়ে গ্লাস সব ভেঙে ফেলেছে। আগুন জ্বালায় দিছে।’

মারধর, ভোট কারচুপি, ভোট দিতে না দেয়া এবং কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।

বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ১৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের প্রার্থী মনোয়ারা বেগম ভোট স্থগিতের দাবি জানান। তবে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ দেননি তিনি।

কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার প্রতিবাদে কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে এসে অবস্থান নেন মনোরায়া।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কেন অভিযোগ দেননি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কার কাছে অভিযোগ দেব? কি অভিযোগ দেব? দেখতেছে না ওরা। সাংবাদিকদের সামনেই তো মারছে। আমাকে যখন মারে এখানে সবাই ছিল। পুলিশের সামনে এমন ঘটনা হয়েছে।

‘আমি নির্বাচন বর্জন করছি। এই নির্বাচনের কোনো দরকার নাই। সবকটি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করুক।’

সরকার দলীয় কর্মী সমর্থকদের বাধার মুখে এক জন হয়েও কোনো কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি বলেও অভিযোগ মনোয়ারার। দিতে পারেননি নিজের ভোটটিও।

তিনি বলেন, ‘আমাকে কেন্দ্রেই ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমি ভোট দিতে পারিনি। কোনো সেন্টারের সামনে দাঁড়াতেই পারতেছি না। আমার বাসার সামনে দেখে আসেন পাথর দিয়ে গ্লাস সব ভেঙে ফেলেছে। আগুন জ্বালায় দিছে। আমার মেয়ে আমেরিকা থেকে গতকাল আসছে তার মাথা ফাটিয়ে দিছে। ওর কি অপরাধ?’

এসব অভিযোগের কিছুই জানেন না বলে জানালেন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানি না। কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’

নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানেই অভিযোগ আসছে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বুধবার সকালে আট থেকে ভোট শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সকাল থেকে দেখা গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটার সংখ্যা নগণ্য।

সকাল আটটায় ভোট শুরুর সময় ছিল কনকনে ঠান্ডা। ধারণা করা হচ্ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ভোটার। কিন্তু এখন রোদের দেখা মিললেও, দেখা মিলছে না ভোটারদের।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির শাহাদাত হোসেন ছাড়াও মেয়র পদে লড়ছেন আরও পাঁচ প্রার্থী।

অন্যদিকে, ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন।

এবারের নির্বাচনে ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মারধর, ভোট কারচুপি, ভোট দিতে না দেয়া এবং কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।

ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ১৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের প্রার্থী মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন বর্জন করছি। এই নির্বাচনের কোনো দরকার নাই। সবকটি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করুক।’

এ বিভাগের আরো খবর