বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিভিল কোর্টে আর্থিক বিচারের পরিধি বাড়ানোর বিল সংসদে পাস

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:৫৭

এর ফলে পাঁচ কোটি টাকার কম মূল্যের সম্পত্তি-সংক্রান্ত মামলায় যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল বা কার্যক্রম হাই কোর্টে বিচারাধীন থাকলে তা জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর করা যাবে।

বিচারিক আদালতের বিচারকদের দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে সিভিল কোর্টস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ পাশ করেছে জাতীয় সংসদ। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এই সংশোধন মূল আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে।

এর ফলে পাঁচ কোটি টাকার কম মূল্যের সম্পত্তি-সংক্রান্ত মামলায় যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল বা কার্যক্রম হাই কোর্টে বিচারাধীন থাকলে তা জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর করা যাবে।

এছাড়া একজন সহকারী জজ এতদিন দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে পারতেন। এখন তা বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের বিচারিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ অধিবেশন শুরু হলে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংসদীয় কমিটির সুপারিশ করা বিলটি পাশের জন্য উত্থাপন করেন। পরে কণ্ঠভোটে সেটি পাস হয়।

এর আগে ১৯ জানুয়ারী আইনমন্ত্রী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠান স্পিকার।

২০১৬ সালেও টাকার অংকে বিচারিক এখতিয়ার একই পরিমাণ বাড়িয়ে আইন সংশোধন করেছিল সরকার। তবে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইনের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেয়। ফলে নতুন করে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার।

এ সংক্রান্ত নতুন বিলে ২০১৬ সালের সংশোধন রহিত করে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, প্রশাসনিক জটিলতাসহ বিচারপ্রার্থী জনগণের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সরকার আইনটি সংশোধন প্রয়োজন বলে মনে করছে।

বিল পাসের আগে জনমত যাচাইয়ের ওপর আলোচনার সুযোগ দেন স্পিকার। এতে অংশ নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলের বিরোধিতা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর