বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেষ দেখে ছাড়বেন শাহাদাত

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৪৭

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ। ছোটকাল থেকে ছাত্র রাজনীতি করে এই অবস্থায় উঠে এসেছি। নির্বাচন আমি শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়ব। তাদের নগ্নতা আমি সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেব।’

বাড়ির পাশের কেন্দ্রেই এজেন্ট নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি।

বুধবার ভোট শুরু হওয়ার দুই ঘন্টা পর নগরের চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভোট দিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শাহাদাত। ভোট দিয়ে তোলেন বিস্তর অভিযোগ।

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ। ছোটকাল থেকে ছাত্র রাজনীতি করে এই অবস্থায় উঠে এসেছি। নির্বাচন আমি শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়ব। তাদের নগ্নতা আমি সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেব। তারা কত নগ্ন ও নির্মম হতে পারে।

‘তারা কিভাবে মেয়েদের গায়ে হাত দিতে পারে। তারা কিভাবে আমাদের ছেলেদের লাঞ্চিত করতে পারে। কিভাবে এজেন্টদের বের করে দিতে পারে আর কিভাবে প্রার্থীদের গায়ে হাত তুলতে পারে। এটা সারা বিশ্বের জানা উচিত সিটি নির্বাচনে কি কি হচ্ছে।’

চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজে তিনটি কেন্দ্রে সকাল থেকে বিএনপির কোনো এজেন্ট ছিল না। শাহাদাত ভোট দিতে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসেন চার জন এজেন্ট।

ভোট দেয়ার আগে তিনি বলেন, ‘আমার নিজ কেন্দ্রে এজেন্ট পায়নি। মেরে বের করে দেয়া হয়েছে অনেক আগেই।’

ভোট দিয়ে এসে বলেন, ‘আমার জন্য ভোট এক রকম, আর সাধারণ ভোটারদের জন্য ভোট আরেক রকম। এখানে আপনারা মিডিয়াম্যান আছেন, আমার সঙ্গে যেহেতু সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, তাই আমি স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারছি। কিন্তু সাধারণ ভোটার ভোট দিতে পারছে না।’

বহিরাগতদের ভয়ে কেউ ভোট দিতে আসছেন না জানিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘এখানে এই কক্ষে ৩৩৬ জন ভোটার আছে। কিন্তু ভোট শুরু আড়াই ঘণ্টা হয়ে গেলেও ভোট পড়েছে মাত্র আমিসহ নয়টি। ভোটার না আসার জন্য যত ধরনের ম্যাকানিজম আছে তারা তা করেছে। এই যে এত লোক এখানে, তাহলে ভোট কি করে নয়টা পড়ে।

ভোট দিতে এসে প্রশাসনের প্রতি নানা অভিযোগ তুলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

‘প্রসাশন কাল বার বার বলেছে এনআইডি কার্ড ছাড়া ঢুকতে দেবে না। তাহলে আশেপাশের যারা আছেন তারা কারা।’

নিজের নারী এজেন্টদেরকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ শাহাদাতের।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার যারা পুরুষ এজেন্ট আছে তাদেরকে মারপিট করে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি নারী এজেন্টদের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়া হয়েছে। এটা আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’

বিএনপির মেয়র প্রার্থী জানান, তার নিজের বাসার লোকদের কেউই ভোট দিতে পারেননি।

প্রশাসনের নিন্দা জানিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখের বিষয় যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্মচারী আছেন তাদের কাছে ভোটাররা কিছু বলতে চাইবেন। কিন্তু আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মিশে তারা একই সুরে কথা বললে ভোটাররা কার কাছে বলবে।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমকে আগের দিনই অনেকে আগাম মেয়র হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ খবর সঠিক বলে দাবি শাহাদাতের। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটা জানি। এটা সঠিক।’

রেজাউল করিম জয়ে শতভাগ আশাবাদী প্রশ্নে এই বিএনপি প্রার্থী বলেন, ‘যারা গতকাল খবর পেয়ে যান, তারা তো শতভাগ আশাবাদী থাকবে।’

এমন অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন জানতে চাইলে শাহাদাত বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা ও পরামর্শক কমিটি আছেন। তারা সবকিছু দেখছেন। তারা পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আওয়ামীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির শাহাদাত হোসেন ছাড়াও মেয়র পদে লড়ছেন আরও পাঁচ প্রার্থী।

অন্যদিকে, ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন।

এবারের নির্বাচনে ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিভাগের আরো খবর