বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুন্দর পরিবেশ, সুষ্ঠু ভোট: রেজাউল

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:৪১

রেজাউল বলেন, ‘জনগণের ভোটে আমরা জিতে যাব। জনগণের ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নয়, জনগণের ভোটে মেয়র পদে জিততে চান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার সকাল ৯টার একটু আগে নগরের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে আমরা জিতে যাব। জনগণের ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা জনগণের রায়ে বিশ্বাস করি। আমরা জনগণের ওপর নির্ভর করি।’

নিজের জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, ‘ভোটাররা যে রায় দেবেন সেটা আমি মেনে নিব। জয় হলেও মেনে নেব, পরাজয় হলেও মেনে নেব। খেলতে যখন নেমেছি ফলাফল যা হবে, সেটাই মেনে নেব।’

রেজাউল মনে করেন, ভোটযুদ্ধে এক পক্ষের খেলা নয়। জমজমাট লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জিতবেন বলে আশাবাদী তিনি।

‘খেলাটা জমজমাট হচ্ছে কী হচ্ছে না আপনারা তো দেখছি এখানে। পরিবেশটা সুন্দর। মানুষ উৎসবমুখর। একটা নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে।’

ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অসঙ্গতি দেখছি না। খুব সুন্দর, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। মানুষের মধ্যে উৎসাহ কাজ করছে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিচ্ছে লাইন ধরে। ভোট নিয়ে বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন আর অপপ্রচার। আজকের নির্বাচন সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে।’

কোনো কোনো কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, তাদের বের করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি রেজাউল করিমের নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘এরা জনসমর্থনহীন পার্টি। বোমা সন্ত্রাস করেছে, অগ্নি সন্ত্রাস করেছে; গাড়িতে বোমা মেরেছে, গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওরা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে।

‘জনসমর্থন হারিয়ে ফেলে জনগণ ওদের সঙ্গে কোথায় থাকবে? এজেন্ট দেয়ার মতন লোক না থাকলে এজেন্ট কোত্থেকে আসবে?’

বিএনপির কোনো এজেন্ট, কর্মীকে কোথাও বাধা দেয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন রেজাউল। তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা নির্বাচন কমিশনকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন রেজাউল করিম। ভোট গ্রহণ শুরু হতে ২০ মিনিট দেরি হওয়া প্রসঙ্গে রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইভিএম ত্রুটির কারণে হয়তো একটু দেরি হতে পারে।’

ইভিএম নিয়ে আপত্তি ছিল বিএনপির। বিষয়টি নিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি সারা বছর অভিযোগ দিয়ে আসছে। অভিযোগ ছাড়া তাদের আর কোন কাজ নেই।’

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী।

তবে মূল লড়াই যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হবে, সেটা স্পষ্ট। বাকি পাঁচ প্রার্থী নিয়ে দৃশ্যত আলোচনা নেই ভোটের মাঠে।

৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ১৭২ প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই আছে বিদ্রোহী। তাই কাউন্সিলর পদে জমজমাট লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

আর সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭। ভোটের প্রচারে পিছিয়ে ছিলেন না এই নারী প্রার্থীরাও।

নগরীতে মোট ভোটর সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর