বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভোটের অপেক্ষায় ইসি

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:২৩

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক ও প্রিসাইডিং অফিসারদের পাশাপাশি সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা উদ্যোগ নেয়া দরকার সবই নেয়া হয়েছে।’

প্রচার, বাগযুদ্ধ শেষ, এবার কেবল ভোটারের রায়ের অপেক্ষা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল আটটা থেকে শুরু ভোটের লড়াই। ৭৩৫টি কেন্দ্রে ১৯ লাখেরও বেশি ভোটারের রায়ে নির্বাচিত হবেন মেয়র ও কাউন্সিলর।

সিটিতে এবার ভোট নেয়া হবে ইভিএমের মাধ্যমে। এরই মধ্যে প্রতি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

আলমগীর বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ইসি থেকে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী সমস্ত দায়িত্ব ন্যস্ত করা আছে।

‘যেহেতু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে, সেহেতু ইভিএম সহায়তার জন্য কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোক চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক ও প্রিসাইডিং অফিসারদের পাশাপাশি সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা উদ্যোগ নেয়া দরকার সবই নেয়া হয়েছে।’

ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে ইসি সচিব জানান, নির্বাচনে প্রতি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতি দুই ওয়ার্ডে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, যত রকম নিরাপত্তা নেয়া প্রয়োজন সব রকম নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর বাইরে থেকে যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে এজন্য শহরের প্রবেশ পথগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’

নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ঠেকাতেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান সচিব। বলেন, ‘সহিংসতার ঘটনা প্রথম দিকে হয়েছিল কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং ভালো অবস্থানে আছে।

‘ওই রকম সহিংসতার ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্যই তো এত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’

ভোটারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান সচিব। বলেন, ‘ভোট দেয়ার আগে হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে। সবাইকে মাস্ক পড়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে।’

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ২১ মার্চ স্থগিত করা হয় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন। সে সময়ের তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ।

এ নির্বাচনে সাত জন মেয়র প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ আসন মিলে ২৪৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর