নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজহারুল আনামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন মাজহারুল আনামের স্ত্রী ফিরোজা পারভীন।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, মামলায় মাজহারুল আনামসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম, মাকসুদ আনাম, মিলি, ফুয়াদ, সাগর সরকার ও নাজমা আক্তার মুন্নি।
২০০৮ সালে মাজহারুল আনামের সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজা পারভীনের। তাদের ১১ বছর বয়সী এক ছেলেও আছে।
বিয়ের পর ব্যবসার কথা বলে মাজহারুল স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা এনেছিলেন। সম্প্রতি আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন ফিরোজা পারভীন।
যৌতুকের জন্য গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ফিরোজা পারভীনকে মারধর করা হয়। পরে ফিরোজা পারভীনের ভাই ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
আপোষের জন্য গতকাল সোমবার মাজহারুলের বাসায় যান ফিরোজা। যৌতুকের টাকা না নিয়ে বাসায় যাওয়ায় মাজহারুল চুলের মুঠি ধরে ফিরোজাকে কিল ঘুষি ও লাত্থি মারেন। লাঠি দিয়েও মারা হয়। এ সময় অন্য আসামিরাও মারধর করেন বলে এজাহারে বলা হয়।
ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।