চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ৫৬ জন এজেন্টকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন দলের মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে এই অভিযোগ নিয়ে যান ধানের শীষের প্রার্থী।
নির্বাচন কর্মকর্তা কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে বলেন, তিনি যাচাইবাছাই করে দেখছেন।
বুধবার চট্টগ্রামে আলোচিত এই ভোট হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তার প্রমাণের সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই নির্বাচন।
বুধবার সাত শতাধিক কেন্দ্রে ১৯ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের রায় দেবে।
ভোটের প্রচার চলাকালে মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সেভাবে কোনো সহিংসতা না হলেও গত কয়েকদিন ধরে শাহাদাত তার কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে আসছেন।
সোমবারও তিনি দুইবার যান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। সেদিন অভিযোগ করেন ৮৫ জনকে আটকের। তবে আজ জানালেন ৫৬ জনের কথা।
পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে, শাহাদাত বলেন, ‘নির্বাচনী এজেন্টদের ছাড়িয়ে আনতে কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি। আর যদি কমিশন এতে বিফল হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসা উচিত।’
বিপুল জনসমর্থন থাকায় এ ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এ পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। এসবের কোনো সমাধান হয়নি। গত সাত দিন ধরে যেসব মামলা হয়েছে, এই মামলায় যাতে গ্রেপ্তার করা না হয় সেজন্য কমিশনকে বলেছি।’
শাহাদাত হোসেনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সঠিক জায়গাতে জানিয়েছি। বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’