পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
কাদের বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে পদ্মা সেতুর কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে কাজ থেমে থাকেনি। অন্য সময় রাত-দিন কাজ হলেও করোনার কারণে রাতে কাজ বন্ধ ছিল। এ সময় কিছু বিদেশি প্রকৌশলী ও পরামর্শক এবং দেশীয় এক হাজার শ্রমিক চলে যাওয়ায় কাজের গতি কমে যায়।’
এদিকে সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিটনেসহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৯টি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মালিকদের এসএমএসের মাধ্যমে ফিটনেস করার তাগাদা, সার্কেল অফিস থেকে নবায়নের ব্যবস্থার পাশাপাশি ফিটনেসহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড, ডাম্পিংসহ নানা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় ৩ হাজার ৯৪৩ দশমিক ৬৯ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৪ হাজার ৮৮২ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১৩ হাজার ৫৫৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক রয়েছে।
এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথাও সংসদে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তায় সরকার ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, অটো, টেম্পো এবং সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। মহাসড়কে চলন্ত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যথাক্রমে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের নির্ধারিত নির্ধারিত গতিবেগ সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ও ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটরযানের গতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গাড়ির স্পিড গভর্নর সিল নিশ্চিত হয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দক্ষ গাড়িচালক তৈরির লক্ষ্যে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আগে দুই দিন মেয়াদে রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৬ হাজার ১০৮ ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’