বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জনপ্রতিনিধি: পুলিশ

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:০১

হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই নাজমুল হক জানান, আব্দুল হামিদ ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনায় একজন জনপ্রতিনিধিও জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবদুল হামিদ। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই নেতার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

হবিগঞ্জে সদরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে এক জনপ্রতিনিধি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল হামিদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক।

২০১৯ সালের ওই ধর্ষণ মামলায় রোববার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেলিয়াখাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অন্যতম আসামি আবদুল হামিদকে। তাকে সোমবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হামিদ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আদালতকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক জানান, আব্দুল হামিদ রাজিউরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন।

এসআই জানান, ধর্ষণের ঘটনায় একজন জনপ্রতিনিধিও জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবদুল হামিদ। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই নেতার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

পুলিশের ভাষ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে চুনারুঘাট থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে রাজিউরা নিয়ে যান কামাল মিয়া ও সেফা আক্তার মিতু নামে দুই জন। পরে ওই কিশোরীকে তারা কয়েক ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। ওই রাতে রাজিউড়া রবি টাওয়ারে নিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনার পরদিন সেফা আক্তার মিতু ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে নিজের বোন দাবি করে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এসআই নাজমুল হক জানান, মামলার দীর্ঘ তদন্তে মূল রহস্য অনেকটা বেরিয়ে এসেছে। সেফা আক্তার মিতু ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বোন নয়; তিনি ওই কিশোরীকে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী।

সংঘবদ্ধ এ ধর্ষণের ঘটনায় ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল মিতুসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে সদর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ আরেকটি মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর