বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিটি করপোরেশনের কর্মচারী যখন রাজনৈতিক নেতা

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:২৩

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগে চাকরি করলেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে পদ নিয়েছেন। স্ত্রীর নামে বরাদ্দ নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের দুটি দোকান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের কর্মচারী এস এম আকবর আলী আকাশ। একই সঙ্গে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।

সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুসারে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার সুযোগ না থাকলেও দাপটের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ভোটের মাঠে সরব আকাশ। রাজনীতি আর সরকারি চাকরি দুটো একসঙ্গে করেই থামেননি, স্ত্রীর নামে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ইজারাও বাগিয়েছেন ৩৫ পেরোনো এই ব্যক্তি। এর মাধ্যমে তিনি সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ লঙ্ঘন করেছেন।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর বিধি-২৫ অনুসারে কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বা সহায়তা করা আইনত অপরাধ বলা হয়েছে এতে।

তবুও আকবর আলী আকাশ সরাসরি রাজনৈতিক আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আসছেন। সিটি নির্বাচন হওয়াতে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি মিটিং মিছিলে সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে তাকে।

সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-১ এর ‘অনুমতিপত্র পরীক্ষক’ হিসেবে ২০১০ সাল থেকে চাকরি করছেন আকবর আলী। তার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের ট্রেন লাইসেন্সের অনুমতিপত্রের সত্যাসত্য যাচাই করা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই সার্কেলের কর কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।

অন্যদিকে বাকলিয়া এলাকার ছৈয়দ শাহ রোড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আরবান হেলথ সেন্টারে নিচে দুটি দোকান ইজারা নিয়েছেন আকবর আলীর স্ত্রী রত্না। এটি এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে এবং এটি আইনসিদ্ধ নয় মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম।

সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা তাদের পরিবার সিটি করপোরেশনের কোনো সম্পত্তি ভোগ করতে পারবেন না বা বাণিজ্য করতে পারবেন না।

প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টি জানতাম না। এখন আমরা জেনেছি। যাচাই-বাছাই করে আইনত কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকারি চাকরি করে দোকান ইজারা নেয়া ও রাজনীতি করার কথা স্বীকার করে এসএম আকবর আলী আকাশ বলেন, ‘আমি অস্থায়ী হিসেবে সিটি করপোরেশনে চাকরি করি। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করি। কাজ নেই তো চাকরি নেই। স্থায়ীভাবে চাকরি করলে আইন নিয়ে কড়াকড়ি হয়। এখন যদি চাকরি না করি জীবিকা নির্বাহ করব কীভাবে? আর চাকরি করেও রাজনীতি করি আদর্শ থেকে। জীবিকা আর আদর্শ দুটো ছাড়া চলব কেমনে?’

রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আকবর আলী আকাশ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম বলেন, অস্থায়ী হিসেবে চাকরি করলেও সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার সুযোগ নেই।

সচেতন নাগরকি কমিটি (সনাক) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি আকতার কবির চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে সরকারি চাকরি করলে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। কিন্তু আইন না মেনে আকবর আলী আকাশ রাজনীতি করছেন। আশা করি চসিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিভাগের আরো খবর