নৌযান শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতির ছয় ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চ শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
মেয়র সেরনিয়াবাত জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-বরিশালের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মেয়রের সঙ্গে কথা বলার পরই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা।
তিনি বলেন, ‘মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক নৌ বন্দরে এসে নদীর মাঝে অবস্থানকারী লঞ্চগুলোকে পন্টুনে নোাঙর করানোর আহ্বান করেন। ইতিমধ্যে তিনটি লঞ্চ পন্টুনে নোঙর করেছে ও যাত্রীরা উঠতে শুরু করেছে। সুন্দরবন ১০ ও মানামী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।’
বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘লঞ্চ চলাচল বন্ধ করলেও পন্টুনে অনেক যাত্রী ছিল। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করেছি।’
বরিশাল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, ‘বরিশাল সিটি মেয়রের আশ্বাসে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। শ্রমিকরা তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে, নিজাম শিপিং লাইন্সের দুটি লঞ্চের দুই মাস্টারকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে লঞ্চ ধর্মঘট শুরু করে লঞ্চ শ্রমিকরা। সোমবার দুপুর দুইটা থেকে কর্মবিরতি শুরু করে তারা।
২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদীর মিয়ার চরে ঘন কুয়াশায় নিজাম শিপিং লাইন্সের অ্যাডভেঞ্জার-১ ও অ্যাডভেঞ্জার-৯ দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও যাত্রীরা হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় দুই লঞ্চের মাস্টারসহ চার জনের সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করে কর্তৃপক্ষ।
পরে বিআইডব্লিউটিএ বাদী হয়ে মেরিন আদালতে মামলা করে। মামলার নির্ধারিত তারিখে সোমবার আদালতে হাজিরা দেন মাস্টার রুহুল আমিন ও মাস্টার জামাল হোসেন। তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠায় মেরিন আদালত।