বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাপুলের স্ত্রী-কন্যার নথি জালিয়াতি বিষয়ে রায় ১১ ফেব্রুয়ারি

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৪৫

দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে গতবছর ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক।

বিদেশে কারাবন্দি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের জামিন আবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি জালিয়াতির ঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়ার দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ তারিখ দিয়েছেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পাপুলের স্ত্রী-কন্যার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন তানভীর পারভেজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় দেয়া এক নথির পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা স্বপ্রণোদিত রুলের ওপর শুনানিতে এ আদেশ দেয়া হয়।

এমপি পাপুল, তার স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় জমা দেয়া ওই জামিন আবেদনের সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মো. আরেফিন আহসান স্বাক্ষরিত একটি নথিও দেয়া হয়।

জামিন আবেদনে বলা হয়, এই নথি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে তারা পেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা আরেফিন আহসান আদালতকে জানান, তিনি এ জাতীয় কোনো কিছু লেখেননি। এরপর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে লিখিতভাবে হাইকোর্টকে জানানো হয়, তারা এ ধরণের কোনো নথি দেয়নি।

এ অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী এ সংক্রান্ত নথি উপস্থাপন করে আদালতে বলেন, জামিন আবেদনে দেয়া নথির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নথির মিল নেই। জামিন আবেদনে যা দাখিল করা হয়েছে তা জালিয়াতি হয়েছে। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তার তদন্ত হওয়া দরকার।

এ সময় আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ওই নথি জালিয়াতি যদি হয়ে থাকে তবে এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা তদন্ত হওয়া দরকার। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্তের আবেদন করা হয়।

দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে গতবছর ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। এ মামলায় গতবছর ২৬ নভেম্বর তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। তবে পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এই শুনানিতে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসে।

গতবছর ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করে। কুয়েত সিআইডি তার বিরুদ্ধে সেখানে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলা করেছে। এ মামলায় পাপুল এখন কুয়েতে কারাবন্দি।

এ বিভাগের আরো খবর