দুদকের করা মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) দুই সহযোগীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এই দুই সহযোগী হলেন পিপলস লিজিং কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক।
সোমবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বিকেল সাড়ে তিনটায় দুই আসামিকে হাজির করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক তা আমলে নিয়ে রিমান্ডের আদেশ দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই দুই আসামিকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়। গত রোববার দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল তাদের আটক করে। সোমবার দুদকের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, আসামি উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও রাশেদুল হকের সহযোগিতায় পি কে হালদার বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন । তারা দুই জন দুই লিজিং কোম্পানির মাধ্যমে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করেছেন ও নিজেরাও লাভবান হয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও জানান, এই দুই আসামি এরই মধ্যে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ পর্যন্ত পি কে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি আলাদা মামলা করেছে দুদক।
দুদক উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার গত রোববার চারটি মামলা ও সোমবার আরও একটি মামলা করেন।
বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করে বিদেশে পলাতক থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তাও নিতে চাচ্ছে দুদক।
বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন পি কে হালদার। তার বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নানা কৌশলে দেড় হাজার কোটি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বের করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ আছে।