বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পি কে হালদারের ৩৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে পাঁচ মামলা

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:১৭

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ এবং বিদেশে পাচার করেছেন।

পাঁচটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩৫১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের স্বজন ও সহযোগীসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর মধ্যে সোমবার চারটি ও রোববার অপর মামলাটি করা হয়। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ৩৩ ব্যক্তি পারস্পারিক যোগসাজশে কাগুজে কোম্পানির মাধ্যমে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লুট করে পাচার করেছেন।

সচিব বলেন, ‘৩৩ আসামির মধ্যে গতকাল (রোববার) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এরা হলেন পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্বল কুমার নন্দী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক এমডি রাশেদুল হক।’

দুদক সচিব জানান, অর্থ আত্মসাতের পাঁচটি মামলা করা ছাড়াও পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে।

পাঁচ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বোর্ডের সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে লোন নিয়েছেন।

এর মধ্যে আনান কেমিক্যাল লিমিডেটের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা; সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণ এর নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান ক্যামিকেলস লিমিটেডের ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ঋণ নেয়া হয়েছে।

পাঁচটি ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলাগুলো করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৩৫০ কোটি টাকা ৯৯ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করেন।

দুদক জানায়, অর্থ আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৮৩ জন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ জনের হিসাবে এক হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ অবস্থায় আছে।

এ ছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের এমডি, সিএফওসহ ১০ জনের বিদেশ যাত্রা রোধে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পলাতক থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তাও নিতে চাচ্ছে দুদক।

বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন পি কে হালদার। তার বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নানা কৌশলে দেড় হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বের করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ আছে।

এ বিভাগের আরো খবর