বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারকে নিখুঁত টিকা দেবে বেক্সিমকো: পাপন

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৫

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত সরকারের কেনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার তিন কোটি ডোজের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে। এই টিকার মধ্যে কোথাও যদি কোনো ত্রুটি, ড্যামেজ বা শর্টেজসহ কোনো রকমের সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো বেক্সিমকো ফার্মা নিয়ে যাবে। সেগুলোর দায় বেক্সিমকোর। সরকারকে আমরা নিখুঁত ভ্যাকসিন দেবো: বেক্সিমকো ফার্মার এমডি।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারকে নিখুঁত টিকা দেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এমনটাই জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা তিন কোটি টিকার মধ্যে প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ করার পর এই কথা বলেছেন পাপন।

বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে সিরামের লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে কোনো একটি দেশে লোকাল এজেন্ট বা পরিবেশক থাকতে হবে। বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে সিরামের এই এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

তবে বেক্সিমকোকে সরকার বাড়তি কিছু দায়িত্ব দিয়েছে। টিকা দেশে এলে গুদামে নেয়া, সেগুলো পরীক্ষা করে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ছাড়পত্র নেয়া, জেলায় জেলায় পৌঁছে দেয়া, কোল্ড চেইন মেইনটেইন করার পাশাপাশি কোনো টিকার ক্ষতি বা কোনো দুর্ঘটনা হলে তার দায়ভারও বেক্সিমকোকে নিতে হবে।

টিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন পাপন

রোববারই এই টিকা নিয়ে ওঠা সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন পাপন। সোমবার টিকা গ্রহণ করতে গিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার কথা বলেন বিষয়গুলো নিয়ে।

পাপন বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত সরকারের কেনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার তিন কোটি ডোজের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে। এই টিকার মধ্যে কোথাও যদি কোনো ত্রুটি, ড্যামেজ বা শর্টেজসহ কোনো রকমের সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো বেক্সিমকো ফার্মা নিয়ে যাবে। সেগুলোর দায় বেক্সিমকোর। সরকারকে আমরা নিখুঁত ভ্যাকসিন দেবো।’

দেশে আসার পর বিশেষ ভ্যানে টিকা নেয়া হচ্ছে বেক্সিমকোর ওয়্যার হাউসে। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘এগুলো বেক্সিমকোর ওয়্যার হাউসে/গুদামে যাবে। সেখানে নিয়ে সরকারের হাতে দেয়ার আগেই প্রতিটি ভ্যাকসিন চেক করে দেখা হবে।’

বেক্সিমকো ফার্মার এমডি বলেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিনের নমুনা আমরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পরীক্ষার জন্য পাঠাব। এরপর তারা ছাড়পত্র দিলে তারপর প্রতিটি জেলায় আমরা পৌঁছে দেব।

‘আমরা ধারণা করছি ৪৮ ঘণ্টার পর সরকার অনুমতি দিলে জেলার জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করব। আশা করি চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা এই ভ্যাকসিনগুলো সব জেলাতে পৌঁছাতে পারব।’

পাপন বলেন, ‘এখন থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে দেশে আসবে। এই ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য আমরা বিশেষ কার্ভার্ড ভ্যান কিনেছি। যা আমাদের কাছে আগে ছিল না। আজ নয়টি ভ্যান ভ্যাকসিন বহন করছে। আগামী মার্চ মাসে আরও নতুন ভ্যান আসবে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মডার্না, ফাইজার, স্পুৎনিক ও সিনোভ্যাক্সের টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও বাংলাদেশ দিচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড টিকা।

গত ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপহার দেয়া ২০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছায়। এর আগেই সিরাম থেকে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকার চালান আসবে।

আগামী বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক নার্সকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে টিকার প্রয়োগ শুরু হবে। তবে গণটিকা শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনা প্রতিরোধে সরাসরি কাজ করা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে।

এ বিভাগের আরো খবর