চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারের আজ শেষ দিন। প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপে সরগরম বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
পোস্টার-ব্যানার ও মাইকিংয়ের পাশাপাশি প্রচারে যুক্ত হয়েছে নির্বাচনি গানও। পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ভোটাররা মত্ত নির্বাচনি আলাপ ও প্রার্থীদের চুলচেরা বিশ্লেষণে।
শেষ মুহুর্তের প্রচারের উচ্ছ্বাসে আচরণবিধিরও ধার ধারছে না অনেক প্রার্থী। গণসংযোগ-পথসভার নামে করেছেন বিশাল জনসভা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে বুধবার। সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচার। সিটি মেয়র হতে এবার লড়ছেন আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির শাহাদাত হোসেনসহ সাত জন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা শেষ সময়ে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি এলাকা। প্রত্যেকেই বাসযোগ্য নগরী গড়ার অঙ্গীকার করছেন। বন্দরনগরীতে রোদের ঝিলিক যতটা না উত্তাপ ছড়িয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি উত্তাপ নির্বাচনি মাঠে।
সিটি করপোরেশনের ১৭, ১৮ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েই ভোট চেয়েছেন বেশি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি আমি। উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোট চাচ্ছি। নিয়মিতভাবেই প্রচার করছি। কিছু সমস্যা তো আছেই। প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকি, ক্যাম্প ভেঙে দেয়া, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা।’
নির্বাচনের দিন এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
প্রচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
তবে এমন কোনও অভিযোগ নেই একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুল আলমের। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ ভালো আছে। আগের চেয়ে অন্তত ভালো আছে।’
এই এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে শঙ্কা যেমন আছে, তেমনি আছে নির্বাচনের আমেজও। তবে প্রার্থীদের প্রচারের তীব্র আওয়াজে খানিকটা বিরক্ত তারা।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার রবিউল হাসান বলেন, নির্বাচনের পরিবেশটা উৎসবমুখরই হওয়া উচিত। তবে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ভোটারদের শঙ্কা বাড়ে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। প্রার্থীরা তাদের প্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের কাছে যেসব অভিযোগ আসতেছে, তা দ্রুত সমাধান করতেছি।’
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৪ জন। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।