দলের ৬৯ নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে বুধবার। সোমবারই শেষ হচ্ছে প্রচার।
নির্বাচনের দুই দিন আগে শাহাদাত বলেন, ‘গতকাল রাত পর্যন্ত আমাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। আজ আমার কাছে আরও ২০ জনের লিস্ট আছে। আমরা এখন রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাব। এই ২০ জনকে আজ ছাড়তে হবে।
‘নির্বাচনের আগের সাত দিন থেকে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। এর সাথে যোগ হয়েছে মাস্তান, সন্ত্রাসী আর ইয়াবা ব্যবসায়ী। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে এখন পর্যন্ত ৯টা মামলা হয়েছে। গত ১৯ তারিখ থেকে এই মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা চেয়েছেন শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা ইতোপূর্বে দেখেছেন যে ইভিএমে ভোট হলে একটি দলের সন্ত্রাসী, মাস্তানেরা ইভিএমের পাশে থেকে গার্ড দেয়। তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে বলে। এজেন্ট বের করে দেয়।
‘আমরা এর আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে গেছিলাম। সেখানে আমরা নয় দফা দাবি দিয়েছি। তাতে আমরা সুস্পষ্ট বলেছি যে, যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের অংশ, তাই ভোটের দিন তাদের যেন সুরক্ষা দেয়া হয়।’
নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘এখন ভোটের কালচার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মানুষের আর ভোটের ওপর আস্থা নেই, যার প্রেক্ষিতে গত মার্চ থেকে আমরা দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। নির্বাচনবিমুখ মানুষদের আবার ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গত সাত দিন ধরে যে অবস্থা চলছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।’
এর আগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেয়া না হলে নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন শাহাদাত।
এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে যে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার নাম জামাল। আর যিনি ওসি আছেন তাকেও করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান শাহাদাত।