মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিচারিক আদালতের খারিজ আদেশের পর এবার হাইকোর্টে আবেদন করেছেন দুর্নীতির মামলায় সিলেটের সাময়িক বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিক।
তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০। একই দিন পার্থ গোপাল বণিকের অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেয় ওই আদালত।
এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন পার্থ গোপাল বণিক।
রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি আবেদনের কপি রোববার রাষ্ট্রপক্ষকে দেয়া হয়েছে। সোমবার আদালতে শুনানির জন্য আসতে পারে।’
রাজধানীর নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ডিআইজি প্রিজন পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, পার্থ গোপালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ৮০ লাখ টাকা বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপার্জন করে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে তিনি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা বেতন স্কেলে কারা উপমহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তার এই বেতন স্কেলের সঙ্গে এতো টাকা অর্থ উপার্জন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তা উত্তোলন করেননি বা তিনি কখনও এই অর্থ আয়কর বিবরণীতেও প্রদর্শন করেননি।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং সে সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।