চট্টগ্রামে ভোটের প্রচারে নেমে যুবলীগের এক নেতা আহত হয়ে হাসপাতালে। তবে তার এই দশা কীভাবে হলো, সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ ও যুবলীগের পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য এসেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের এক নেতা দাবি করেছেন, আদিত্য পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে প্রচারের সময় নানা ধরনের সহিংসতা হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের এক কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
এখন পর্যন্ত যেসব সহিংসতা হয়েছে, তার মধ্যে সিংহভাগই সরকারদলীয় কর্মীদের নিজেদের মধ্যকার ঘটনা। মূলত দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে মারামারিই বেশি হয়েছে। অবশ্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে একাধিক।
আদিত্যের ঘটনাটি আসলে কী, সেটি এখনও সুষ্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক জানান, রোববার দুপুরে নগরের জিইসি এলাকায় ভোটের প্রচার চলাকালে আদিত্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার সামনে। তবে কে বা কারা এই ছুরিকাঘাত করেছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।
তবে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর দাবি, আদিত্য নন্দী ছুরিকাঘাতের শিকার হননি। তিনি প্রচারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আদিত্যের নম্বরে ফোন করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
আগামী বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হতে যাচ্ছে। প্রচার শেষ হচ্ছে সোমবার। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে আদিত্য সম্প্রতি চট্টগ্রামে আসেন। তার বাড়ি একই জেলার হাটহাজারীতে।