বাগেরহাটের শরণখোলায় একাধিক মামলার আসামিকে ধরে পিটিয়ে পা ভেঙে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার দুই চোখ তুলে ফেলা হয়।
ভুক্তভোগীর নাম সাইফুল ইসলাম। রোববার ভোরে শরণখোলার মঠেরপাড় গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, ভোর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাইফুলকে মারধর করে পা ভেঙে, দুই চোখ নষ্ট করে দিয়ে ফসলের মাঠে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সাইফুলকে যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তার জ্ঞান ছিল না। সন্ধ্যায় হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর তিনি কয়েক জনের নাম বলেছেন। তাদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে ।
শরণখোলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সাইফুলের দুই চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। তার বাম পা ভেঙে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সাইফুল খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ ১২টি মামলার তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, সম্প্রতি রাজৈর এলাকায় চুরি করতে গেলে বাধা দেয়ায় ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেন সাইফুল।
একই এলাকার আসলাম হওলাদারের এক মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করেন তিনি। আসলামের একটি গরুর পায়ের রগও কেটে দেন তিনি।
সাইফুল পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন একাধিকবার। একবার তিনি পালান হাতকড়াসহ।
বাগেরহাট জেলখানার দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টাও করেন তিনি। তবে সফল হননি। তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।