ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর পূর্তি স্মরণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবন সংলগ্ন রাজপথে কুচকাওয়াজ শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী চলে এই আয়োজন।
ভারত যখন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নামছে তাদের ঘনিষ্ট প্রতিবেশী বাংলাদেশে তখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে ভারতের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ, এক কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার এবং যুদ্ধের শেষ দিকে ভারতীয় বাহিনীর অংশগ্রহণে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অর্জিত সেই স্মরণীয় বিজয়ের অর্ধশতক স্মরণীয় করে রাখতে বার্ষিক কুচকাওয়াজে এবার বাংলাদেশের সশন্ত্রবাহিনীর একটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
ভারতের ইতিহাসে তাদের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে যাওয়া তৃতীয় দেশ হবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতীয় সশন্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে অতীতে সম্মাননা দিয়েছে।
কুচকাওয়াজে অংশ নিতে ম্যাচিং ব্যান্ডসহ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর ১২২ সদস্যের একটি দল এরই মধ্যে ভারতে অবস্থান করছে।
এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কর্নেল মোহাম্মদ মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী।
বাংলাদেশ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের কন্টিনজেন্টটি সাজানো হবে ছয়টি সারিতে। এর মধ্যে প্রথম দুটি হচ্ছে সেনাবাহিনীর। মাঝের দুই সারি নৌবাহিনীর। আর শেষ দুটি সারি বিমানবাহিনীর সদস্যদের।
আইএসপিআর পরিচালক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ রোববার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই প্যারেডে প্রথম দিকে থাকছে আর্মির সদস্য, তারপর নেভি, তারপর এয়ারফোর্স। কারণ আমাদের সিনিয়রিটি অফ দি সার্ভিসেস হচ্ছে প্রথমে আর্মি, তারপর হচ্ছে নেভি, তারপর এয়ারফোর্স।’
কুচকাওয়াজের দিন দিল্লির আকাশে উড়বে ভারতের বিমানবাহিনীর পুরনো সংস্করণের ডাকোটা মডেলের বিমান, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর যাত্রাও শুরু হয়েছিল ভারতের উপহার দেয়া ডাকোটা বিমান দিয়ে।
কুচকাওয়াজ শেষে সশন্ত্রবাহিনীর দলটির ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।