চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ আমেরিকার চেয়েও ভালো বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘প্রার্থীদের সমর্থকেরা রাস্তায় মিছিল করছেন। কোথাও কোনো সংঘাতের চিহ্ন নেই। নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আশাবাদী। এ জন্য সেনাবাহিনী মোতায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই, প্রয়োজনীয়তাও বোধ করছি না। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) যেখানে নির্বাচন হবে, সেখানে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্যরা থাকবে।’
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনি বিধিমালায় কারা প্রার্থী হতে পারবেন সে সম্পর্কে বলা আছে। তাই কারও বিরুদ্ধে মামলা হলেই তিনি অপরাধী নন। তবে কেউ শাস্তি বা কারাদণ্ড পেলে তাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে হবে।
‘যারা কোনো ধরনের হয়রানির সঙ্গে সম্পৃক্ত না, তারা যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখছি।’
সিইসি জানান, শনি বা বৃহস্পতিবার নির্বাচন দিলে আশা করা হয় ছুটি পেয়ে ভোটাররা ভোট দেবেন। কিন্তু দুই-তিন দিনের ছুটি পেয়ে ভোটাররা আর ভোট দিতে যান না। এই কারণেই ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়নি।
যারা বিভিন্ন অফিস আদালতে কর্মরত থাকবেন, তাদের ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে। নির্বাচনের দিন ট্রাক ও মোটরসাইকেল ছাড়া বাকি গণপরিবহণ চালু থাকবে।
নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনি কাজ করার আহ্ববান জানিয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার নির্বাচন হলেও নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হবে না।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিট পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানসহ আরও অনেকে।