বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বগুড়ায় ফাটল ধরা ঘর হস্তান্তর!

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৪৯

শেরপুর উপজেলায় ১৬৩টি, শাজাহানপুরে ১৫ গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঘরগুলো নির্মাণে নিম্নমানের ইট, খোয়ার বদলে রাবিশ, নিম্নমানের বালু, কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নির্মাণ ব্যয়ের জন্য টাকা-পয়সাও নেয়ার অভিযোগ আছে।

বগুড়ার শেরপুর ও শাজহানপুর উপজেলায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাড়িতে উঠার আগেই স্থাপনায় ধরেছে ফাটল।

এ ছাড়া নিঁচু জমিতে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দুর্যোগ সহনীয় ঘর দুর্যোগ আসার আগেই পানিতে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।

শেরপুরে ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঘরগুলো নির্মাণে নিম্নমানের ইট, খোয়ার বদলে রাবিশ, নিম্নমানের বালু, কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নির্মাণ ব্যয়ের জন্য টাকা-পয়সাও নেয়ার অভিযোগ আছে।

মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়কোলা গ্রামের আলাউদ্দিন রনি জানান, তাদের গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য তিনটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। একটি ঘরের দেয়ালে ফাটলও ধরেছে।

তিনি বলেন, ‘যেভাবে কাজ হয়েছে তাতে মনে হয় এই ঘর বেশি দিন টিকবে না। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।’

কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া কলোনী গ্রামের মৃত আবু বক্করের স্ত্রী বাছিরন বেগম বলেন, ‘বাড়ির কাজ ভালো করার জন্যে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা না দিলে কাজ ভালোভাবে করত না।’

একই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী রুবিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘কাজ ভালো করার জন্য দুই বস্তা সিমেন্ট দিয়েছি। তবুও কাজ ভালো হয়নি। পলেস্তার খসে পড়ছে।’

অনেকেই অভিযোগ করছেন, ঘরের কাজে সিমেন্ট দিয়েছে অল্প, বালু দিয়েছে বেশি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, ‘ফাটলের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তবে একটু সমস্যা হয়েছিল, তা আমরা সমাধান করেছি। আর আমাদের কাজে কোনো ধরনের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।’

শাজাহানপুর উপজেলায় ১৫ গৃহহীন পরিবারের কাছে আজ শনিবার বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানেও শেরপুরের মতোই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবে। খুব নিচু জায়গায় এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।’

উপকারভোগীরা অভিযোগ করছেন, নিম্নমানের কাজ গোপন করতে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে ঘরের বাহিরে মাটি ভরাট করে ইটগুলো ঢেকে দেয়া হয়েছে। ঘরে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করার কারণে দ্রুত প্লাস্টার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে মোবাইলে বলেন, ‘এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবে এখন বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর