স্বামী-সন্তান নিয়ে খুপড়ি ঘরে থাকতেন মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের জাহেদা বেগম। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে ওঠেন ভাইয়ের বাড়িতে। ঠাঁই জোটেনি সেখানে। পরে আশ্রয় নেন ভাইয়ের বাড়ির গোয়ালঘরে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের বাড়ি দিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে যোগাযোগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে। পরে তার নাম ওঠে সুবিধাভোগীর তালিকায়।
সেই ঘরের চাবি হাতে পেয়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে দুর্ভোগের দিনগুলো মনে করে জাহেদা বলেন, ‘স্বামী মরার পর ভাইর বাড়িতে উঠলেও ঠাঁয় পাই গোয়ারঘরের বাড়িত। কী করবার পারি বাবা। সেখানেই ঝড় বাদলে ঠাঁয় নেই দুই ছাওয়াল নিয়া। এবার শেখ হাসিনা আমারে ঠিকানা দিয়ে দিল। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দোয়া করি।’
জাহেদার মতো মাগুরা সদরে ১৫টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘর। আর শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলায় ঘর পেয়েছে ১১৫টি আশ্রয়হীন পরিবার।
ঘর হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘর একটা মানুষের জীবনের স্বপ্ন। বিশেষ করে নিজের ঘর ও জমি একটা জীবন বদলের ধাপ হিসাবে কাজ করে। মাগুরাতে যারা এই পর্যায়ে ঠিকানা পেলেন তারা সবাই ঘরহীন মানুষ।
‘দুই ধরনের মানুষকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘর বরাদ্দ দিয়েছি। এক যারা জমি ও ঘরহীন, দুই যারা কিছু জমির মালিক কিন্তু ঘর বলতে কিছু নেই, কোনমতে দিন পার করছেন।’
প্রথম পর্যায়ে যাদের ঘর ও জমি কিছুই নেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।