হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মানাধীন টার্মিনাল-৩ এ চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দর্পণ গ্রুপের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম সোহাগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির ও ম্যানেজার মিন্টল রায় ওরফে অপূর্ব রায়।
বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ধরা পড়া তিন জন ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার ভুক্তভোগীরা সিআইডির কাছে যান। পরে ভাটারা থানায় করেন মামলা।
এরপর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে রাজধানীর বসুন্ধরা রোড ক/২৪/৪, সরকার মার্কেট, তৃতীয় তলায় দর্পণ গ্রুপ অফ কোম্পানির অফিসে অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার তিন জন সিআইডিকে জানান, তারা স্যামসাং গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করতেন। তাদের প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় তলায় ডিজিটাল ব্যানারে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ তে দক্ষ ও অদক্ষ লেবার এবং সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হবে মর্মে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রাখে।
বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদেরকে বলা হয়, শ্রমিকের চাকরি পেতে ৫০ হাজার টাকা ও সুপারভাইজার প্রতি এক লাখ টাকা দিতে হবে।
চাকরি পেতে ১০০ থেকে ১৫০ জন লোক টাকা দেয়। আর তাদেরকে ভুয়া নিয়োগপত্রও দেয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা নিয়োগপত্র নিয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তারা দর্পণ গ্রুপের কার্যালয়ে যান। তখন তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়।