ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী এডিস মশার প্রকোপ কমলেও অন্য ধরনের মশা বৃদ্ধির বিষয়টি জেনেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে মশা নিধনে সমন্বিত ব্যবস্থার তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অষ্টম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।
তাজুল বলেন, ‘এখন অ্যাডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্য প্রজাতির মশা বেড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।’
মশার ওষুধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ারও তাগিদ দেন মন্ত্রী। বলেন, একই কীটনাশক দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে সেটা মশা সহনশীল হয়ে যায়। তাই কার্যকর ঔষধ কেনা ও তদারকি বাড়াতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের স্বার্থে ওপরের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে একত্রে কাজ করলে কোনো কাজই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না। আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এবং খালের দায়িত্ব ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনে আসার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ায় দুই মেয়রের প্রশংসাও করেন মন্ত্রী।
- আরও পড়ুন: বদলে গেছে ঢাকার মশা
তিনি বলেন, ‘নগরীর খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে নগরবাসী যেমনি এর সুফল পাবে, অন্যদিকে অ্যাডিস মশাসহ অন্যান্য প্রজাতির মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
সভায় স্থানীয় বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনও উপস্থিত ছিলেন।