করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা কিনতে ১ হাজার ২৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার দর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনারও অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ বিমানে করে ভারত থেকে ২০ লাখ টিকা আসে। দেশটির সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য এই টিকা দিয়েছে।
এ টিকা উৎপাদন করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট। আর এর উদ্ভাবক অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
বাংলাদেশ সরকার এই টিকার ৩ কোটি ডোজ প্রয়োগ করবে। সিরাম থেকে টিকা আনবে বেক্সিমকো ফার্মা আর সরকার টিকা নেবে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে।
প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ৫ ইউএস ডলার। এরই মধ্যে ভারত থেকে বেশি দামে এই টিকা কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকেরা প্রতি ডোজ টিকার দাম জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, টিকা আমদানিসহ আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে এরই মধ্যে দুই দফায় প্রায় ১ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।
কর্মকর্তরা আরও জানান, করোনার টিকা কেনার জন্য অর্থের কোনো সমস্যা হবে না। বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এর আগের দিন বুধবার অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি ও প্রয়োগের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটির কলেবর বাড়ানো হয়েছে। এই অতিরিক্ত বরাদ্দ থেকে টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর খরচ চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় টিকা প্রয়োগকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরকারিভাবে আমদানির উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাভি-কোভ্যাক্সের আওতায় আরও সাড়ে ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।