ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলার প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ছিল।
তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আসলাম উদ্দীন মোল্লা প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন। শুনানি শেষে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা।
এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো আলোচিত এই মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে নতুন করে তারিখ দেয়া হলো।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘তদন্ত এগিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত ও ১৬১ ধারায় সাক্ষীদের জবানবন্দি নেয়ার কাজ প্রায় শেষ। যে কোনো সময় আদালতে জমা দিব।’
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
প্রধান আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের তৎকালীন আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুনকে। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বাকি চার আসামি হলেন- নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকী। এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মামলায় হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ওই শিক্ষার্থী। আসামিদের মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।