জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ, খালের জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অন্তত ১২৫ কোটি টাকা খরচ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এই ব্যয়ের পুরোটা মেটানো হচ্ছে করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে।
বুধবার মতিঝিলে একটি পার্ক উদ্বোধনের সময় এ কথা জানান সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, গত বছর যে সব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছিল। সে সব জায়গায় আমরা কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি। এসব অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার মতো এবং বর্জ্য অপসারণে ২০-২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সম্প্রতি ওয়াসার কাছ থেকে ঢাকার খাল ও বক্স কালভার্টগুলো বুঝে নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এর পর থেকেই দক্ষিণ সিটির আওতায় থাকা খাল ও বক্স কালভার্টগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করেছে ডিএসসিসি। পাশাপাশি খালের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযানও চলছে।
তাপস বলেন, ‘পুরো কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার খানিকটা ঘাটতি আছে। এই কাজের জন্য যে ধরনের যান ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা আমাদের নেই। যেমন আমরা ওয়াসার কাছ থেকে লং-বুম চেয়েছি। সেটি এখনো আমরা পাইনি। এগুলো পেলে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে গতি আসবে।’
খালগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক হাজার কোটি টাকার একটা প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মেয়র। বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা খালগুলোর পাশে সাইকেল লেন, ওয়াক ওয়ে এবং নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করব।’
পার্ক উদ্বোধনের আগে মেয়র নগরীর জিরানী খালের কিছু এলাকায় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন।পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী, শাখারী বাজার ও নয়াবাজার এলাকায় নবনির্মিত তিনটি পদচারী সেতু (ফুটওভার ব্রিজ) উদ্বোধন করেন।
এ সময় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।