বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামিন দেয় আদালত, এজি-ডিএজি নয়: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রূপা

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:০৬

বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হয়ে ডিএজি রূপা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আঁতাত করে আসামিদের জামিন দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

অভিযুক্ত বা আসামিকে জামিন দেয় আদালত এটা সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এজি বা ডিএজির কথায় আদালত কাউকে জামিন দেয় না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসি রূপা।

বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বের হয়ে তিনি এ কথা জানান।

আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ অনেক আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন পাইয়ে দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

দুদকের উপপরিচালক ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হয়ে ডিএজি রূপা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আঁতাত করে আসামিদের জামিন দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি বলেন, ‘জামিন দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আদালতের। জামিন দেয়ার বিষয়ে মাননীয় বিচারকগণ স্বাধীন। আদালতের বিচারকগণ মামলার গুণাগুণ বিচার করে জামিন দিয়ে থাকেন। এখানে এএজি বা ডিএজির কথায় জামিন দেয়ার নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই।’

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও তিনি প্রত্যাখান করে বলেন, ‘তা মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রোপাগান্ডা, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে দুদককে জানিয়েছি।’

রূপা বুধবার দুপুর ২টায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন বলে নিউজবাংলাকে জানান দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) মোহাম্মদ ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত একটি তলবি নোটিশ দেয়া হয়।

ওই নোটিশে রূপাকে গত ৪ নভেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি নিয়ে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল।

তবে সেদিন হাজির না হয়ে উল্টো সংস্থাটির তলব আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১ নভেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেন রূপা। তবে তার আবেদনটি ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেয়।

সে সময় আদালত বলেছিল, দুর্নীতি এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় দুদকের কোনো অনুসন্ধানে আদালত হস্তক্ষেপ করলে বাজে নজির তৈরি হবে। দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে উৎসাহও দিচ্ছে আদালত।

হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলে রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ১৭ ডিসেম্বর ফের চিঠি পাঠায় দুদক। ওই দিন একই সঙ্গে তার ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধানে দেশের ৫৬টি ব্যাংককেও চিঠি দেয় কমিশন।

এর আগে রূপাকে পাঠানো দুদকের ২৮ অক্টোবরের নোটিশে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণপূর্বক জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামিকে জামিন পাইয়ে দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনার জন্য নোটিশটি দেওয়া হয়েছে।’

২০২০ সালের ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) জামিন দেয় হাইকোর্ট। অস্ত্র মামলায় তাকে ছয় মাস ও মাদক মামলায় এক বছরের জামিন দেওয়া হয়েছিল।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দুই মামলায় তাকে জামিন দেয়।

জামিনের বিষয়টি গোপন ছিল। মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফাঁস হওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় ৮ মার্চ জামিন বাতিল করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর