দখল ঠেকাতে সীমানা নির্ধারণ করে ঢাকার খালগুলোর দুই পাড়ে খুঁটি বসাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সীমানা নির্ধারণের কাজটি করবে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে উত্তর সিটির আওতাধীন সুতিভোলা ও কড্ডা খাল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
খাল দুটি উত্তর সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৭, ৩৮, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। যা এখানকার দাওকান্দি, টেকপাড়া বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, মোল্লাপাড়া তালতলা, বেপারীপাড়া, পোস্ট অফিস রোড, ভাটারা ও উত্তরবাড্ডাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাষণের প্রধান পথ।
খাল পরিদর্শন শেষে পূর্ববাড্ডার নামাপাড়া এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র আতিকুল।
তিনি জানান, উত্তর সিটির আওতাধীন ১৩টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার। এর পুরোটা দখলমুক্ত করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা না পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
মেয়র জানান, আগামী ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২৬টি খাল নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসেরও উপস্থিত থাকার কথা আছে। ওই সভায় তারা ঢাকার খালগুলো নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে তাদের নিজ নিজ পরিকল্পনার কথা জানাবেন।
মেয়র বলেন, ‘ঢাকার নদীগুলোতে যেভাবে সীমানা খুঁটি দেয়া হয়েছে, সেভাবে ঢাকার খালগুলোতেও সীমানা খুঁটি দেয়া হবে। সীমানা নির্ধারণ করে দিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারা সীমানা নির্ধারণ করে দিলে খালের ভেতর কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না।’
উত্তর সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে ডিএনসিসির পরিকল্পনার কথাও জানান মেয়র আতিক। তিনি বলেন, ‘এই এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে এর মধ্যে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এসব এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা। দ্বিতীয় কাজ রাস্তা চওড়া করা।’
নতুন ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সাজানোর ওপর জোর দেন আতিকুল। নিচু জমি ও জলাশয় দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানান তিনি।
বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে রাজউককে চিঠি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ড্যাপে (বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা) নিচু ভূমি বা জলাশয় হিসেবে চিহ্নিত জায়গাগুলোতে যেন ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া না হয়।