মাসেকুল হক রেজভী। দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে ছিলেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিএনপি থেকে চলে আসেন আওয়ামী লীগে।
ওই ইউনিয়নের মানিকসার গ্রামের রেজভী এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কান্ডারি। সম্প্রতি দলের নেতারা তাকে বসিয়েছেন ইউনিয়ন সভাপতির পদে।
তবে রেজভীর নাম এখনও বিএনপি কমিটির তালিকায় বহাল আছে বলে জানিয়েছেন পয়ালগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম।
তিনি বলেন, ‘রেজভী ভাই দীর্ঘদিন আমার কমিটির পদে ছিলেন। দেড় বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে আমাদের কাছে পদত্যাগপত্র দেননি।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছি। তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা একজন বিএনপি নেতাকে বঙ্গবন্ধুর সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মানতে পারে না। দ্রুত একটি কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগীদের মূল্যায়নের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন লিংকন বলেন, ‘সম্মেলনে কাউন্সিলদের মতামতের ভিত্তিতে মাসেকুল হককে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার জানা মতে তিনি এক সময় বিএনপির সমর্থক থাকলেও কোনো পদে ছিলেন না। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকে তিনি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করছেন। এরপরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মাসেকুল হক রেজভী বলেন, ‘আমি কখনওই বিএনপির কোনো পদে ছিলাম না। গত চার বছর আগে আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম পূরণ করেছি। এরপর থেকে দলের জন্য কাজ করছি। এসব অভিযোগ মিথ্যা।’
রেজভী কেন বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলেন তা জানতে চেয়ে তাকে ফোন করা হলে সভায় ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন। এর পর তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।