বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভিএম নিয়ে সন্দেহ শাহাদাতের

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৫২

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা হয়েছে, তবে ভোটের পরিস্থিতি এখনও ভালো না। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করার কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন এখনও নেয়নি।

ছাত্রদল দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন বিএনপির শাহাদাত হোসেন। এখন তিনি চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক। ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। বর্তমানে তিনি বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি।

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শাহাদাত হোসেন।

সম্প্রতি নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন ধানের শীষ প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিফায়াত উল্লাহ।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিরোধিতা কেন?

ইভিএমে দুইটি প্যানেল রয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের (আঙুলের ছাপ) মাধ্যমে যখন কেউ ভোট দেন, তখন অপারেটিং প্যানেলের সঙ্গে ব্যালট প্যানেলও খুলে যায়। এ সময় অন্য কেউ ব্যালট প্যানেলে ভোট দিতে পারেন। আমরা ভোটকেন্দ্রে এখন বহিরাগতদের আসতে দেখি। বহিরাগতরা অন্যের ভোট দিয়েছেন, সেটিও শুনি। যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা দিতে হবে। এজন্য বুথের ভেতর সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে হবে।

ভোটের পরিস্থিতি কেমন?

ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা হয়েছে, তবে ভোটের পরিস্থিতি এখনও ভালো না। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করার কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন এখনও নেয়নি। ভবিষ্যতে নেবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। কারণ, এর আগেও ভোটারবিহীন নির্বাচন আমরা দেখেছি।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনি প্রচার

আপনার চোখে চট্টগ্রামের সমস্যা কী কী?

এই চট্টগ্রাম এখন নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নগর পরিচালনার প্রক্রিয়ায় সমস্যা আছে। সবকিছুই দলীয়করণ হয়েছে। বিরোধী দলের লোকেরা নির্যাতনের শিকার, অন্যদিকে সরকার পক্ষের লোক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। কিন্তু এর কোনো বিচার হচ্ছে না। হাজার কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়ন করা হলেও, এর ফলাফল মিলছে না। বর্ষায় ডুবে যাচ্ছে নগর, যানজটে নষ্ট হচ্ছে সময়। অপরিকল্পিতভাবে ফ্লাইওভার গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার হচ্ছে না। বলতে গেলে পুরোটাই অপরিকল্পিত এই শহর।

নির্বাচিত হলে কী করতে চান?

সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। বিএনপি সব সময় ক্ষমতায় এসেছে জনগণের সমর্থনে। তাই সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণের কাজ করব। জনগণের যেসব চাহিদা রয়েছে; যেমন- জলাবদ্ধতা ও যানজট দূর করা, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ হেলদি (স্বাস্থ্যসম্মত) সিটি গড়তে যা যা প্রয়োজন সব করব। তবে এক্ষেত্রে জনগণকে পাশে থাকতে হবে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।

জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?

জয়ের ব্যাপারে এখনও শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি, চট্টগ্রাম নগরবাসী কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। তবে যদি সরকার পক্ষের লোকেরা প্রতিনিধি নির্বাচন করার দায়িত্ব পান, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

প্রশাসন কেমন সহায়তা করছে?

প্রশাসন নির্বাচনের ক্ষেত্রে একমুখী নীতি অনুসরণ করছে। এরই মধ্যে বিএনপির প্রচার ও গণসংযোগে একাধিক জায়গায় হামলা হয়েছে। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে, ভারসাম্য থাকবে না। তখন ভোটাররা হতাশ হয়ে যাবেন। অতীতের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন উপহার দেবে ইসি (নির্বাচন কমিশন)।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাত জন। নগরের ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখের বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর