করোনার টিকা কেবল সরকার সমর্থকরা পাবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি জানান, বিএনপি আগেভাগে করোনা টিকা নিতে চাইলে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাছান।
ভারত থেকে করোনার টিকা আসা যখন সময়ের অপেক্ষা, তখন বিএনপির পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য আসছে। প্রথমত. ভারতের টিকা কাজ করবে না। দ্বিতীয়ত. এই টিকা কেবল সরকার সমর্থকরা পাবে। টিকাদান কেন্দ্রে গেলে বাকিদের ফিরিয়ে দেয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি আগে ভ্যাকসিন পেতে চায়, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে অনুরোধ করতে পারি, বিএনপিকে যেন আগে ভ্যাকসিন দেয়া হয়।’
হাছান বলেন, তারা গুজব রটিয়েছিল একটি ভুল সংবাদ এর প্রেক্ষিতে। বলেছিল, সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে না। কিন্তু সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে। এমনকি আমরা বিনামূল্যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে।’
সবকিছুতেই ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন টিকা অন্য সুরে কথা বলছে বলেও মনে করেন হাছান। বলেন, ‘লুটপাটের দল তো বিএনপি। সেজন্য সব কিছুতে লুটপাট দেখার চেষ্টা করে।’
করোনা টিকা নিয়ে সরকার লুটপাট করছে, বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন হাছান। বলেন, ‘তারা মনে করেছিল এই করোনা মহামারি সরকার সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবে না।
‘তারা প্রথম থেকে আশঙ্কা করেছিল বা ধারণা করেছিল, এমনকি হয়ত প্রার্থনাও করেছিল যে, এই করোনা মহামারিতে যেন ব্যাপক লোক ক্ষয় হয় এবং দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু সেটি হয়নি।’
দেশে তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় বিএনপি হতাশ বলেও মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগে ‘কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি’ নেই
আওয়ামী লীগকে কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক দল বলে বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও জবাব দেন হাছান।
বরেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলব, উনি যে দল করেন সে দলে যে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি আছে, আগে সেটা নিয়ে একটু কথা বলুন।’
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হাছান বলেন, ‘একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আরেকজন হচ্ছেন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসাসি। ১৩ নদী সাত সমুদ্র ওপার থেকে যা বলেন তাদের দলের সিদ্ধান্ত হয় সেভাবে। কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি তাদের দলে আছে আমাদের দলে নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থাকলে আমাদের দলে কাদের মির্জা এত কথা বলতে পারতেন না এবং বললে সেটা নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হতো, সেটি হয়নি।’
এ সময় মেজর হাফিজকে দেয়া কারণ দর্শানোর চিঠির প্রসঙ্গটি টেনে আনেন তথ্য মন্ত্রী।
বলেন, ‘মেজর হাফিজ একটু সমালোচনা করেছেন। সেজন্য তাকে যেভাবে শোকজ করা হয়েছে, যে ভাষায় শোকজ করা হয়েছে... সেই দলের মহাসচিবের এই রাজনীতি নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।’