বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রণোদনা প্যাকেজের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছে সরকার

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৫

‘সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ঘোষিত প্যাকেজের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং অর্থনীতির ওপর এগুলোর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের অর্থনৈতিক গতি সঞ্চারের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

তিনি জানান, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও সামাজিক সুরক্ষা সম্মিলিত ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশের সমান।

সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, কিছু কিছু প্যাকেজের বাস্তবায়ন ২০২১ সালেও চলমান থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ঘোষিত প্যাকেজের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং অর্থনীতির ওপর এগুলোর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের অর্থনৈতিক গতি সঞ্চারের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা সঙ্গীন হলেও বাংলাদেশ নানা পদক্ষেপে সফল হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, যা হতে বাংলাদেশ মুক্ত নয়। তবে শুরু থেকেই আমাদের সরকার সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার করেছে যার ফলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মৃত্যুর হার এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অধিকতর সাফল্য দেখাতে পেরেছে।’

অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন বলে ঘোষণা দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক পুনুরুদ্ধারে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংকট মোকাবিলা এবং এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করে অর্থনীতিকে দ্রুত পুনর্গঠন এবং অর্থনীতির গতি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী একটি সামগ্রিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করে।’

শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকারের সময় উপযোগী সকল দিকনির্দেশনা উদ্যোগ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চারটি প্রধান কৌশলগত দিক হলো: প্রথমত. সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দেয়া এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

দ্বিতীয়ত. ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা, যাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত হয় এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন থাকে।

তৃতীয়ত. হতদরিদ্র সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বৃদ্ধি করা।

চতুর্থত. মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এ কৌশলটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যাতে মুল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সরকারি দলের আরেক সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ এর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার করোনাভাইরাসে মানুষের জীবন ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে দেশে করোনাভাইরাসসহ অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে।

‘দ্রুততম সময়ে ও দক্ষতার সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে নানাবিধ পদক্ষেপ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সহ অনেক দেশ ও সংস্থা প্রশংসা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৪৭ সদস্যের জাতীয় কমিটি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতির নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর