ভারত থেকে করোনার টিকা আসা যখন সময়ের অপেক্ষা, তখন এর প্রয়োগ, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে করণীয় কী হবে, তার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত হয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত টিকাদান কেন্দ্র হবে কেবল হাসপাতালে। এর সবই সরকারি পর্যায়ের চিকিৎসালয়। বেসরকারি পর্যায়ে টিকাদান কেন্দ্র এখনই নয়।
কেবল সরকারি হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র রাখার কারণ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রয়োগের পর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এর মধ্যে আছে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা, ইত্যাদি।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যেমন, জ্বর, সর্দি গলা ব্যথা হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে কেয়ার এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সর্বত নির্দেশনা দেয়া হবে।’
হাসপাতালের বাইরে আপাতত কোনো টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে না জানিয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন সচিব। বলেন, ‘কারণ এটা নতুন ভ্যাকসিন। বাইরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা হাসপাতাল সুবিধা দিতে পারব না।’
চিকিৎসক টিকাগ্রহীতাদের সার্বক্ষণিক দেখভাল করবেন বলেও জানান সচিব। টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকে টেলিমেডিসিন আওতায় নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
টিকা নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রদানকেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
‘ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হলে করোনা বুলেটিনের মত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত যে টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনেছে। তার প্রথম চালান আসছে কাল।
প্রথমে বলা হয়েছিল, টিকা প্রয়োগ হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে। তবে তা এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত হচ্ছে, জানুয়ারির শেষেই দেয়া হবে টিকা।
প্রথমে ২০ জনকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। তারা স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মী।